ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

৯.২ শতাংশ কমেছে চীনের জ্বালানি তেল আমদানি

চলতি বছরের এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ৯ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি দেশটির এক কাস্টমস তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সংবাদ জানা গেছে। খবর রয়টার্স।

বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক চীন। নানা করণে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম মন্থর হয়ে পড়েছে। এতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমেছে চীনে। পাশাপাশি দেশটিতে জ্বালানি তেলের উচ্চ মজুদ ও সীমিত চাহিদার কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে পরিশোধন কারখানাগুলো।

জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত মাসে চীনে মোট ৪ কোটি ২৪ লাখ ৪৫ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল এসেছে। দৈনিক গড়ে ১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে দেশটি। গত জুলাইয়ের পর এটিই সর্বনিম্ন আমদানি রেকর্ড। অক্টোবরেও দৈনিক গড়ে ১ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে চীন।

তথ্য বলছে, এপ্রিলের আগেও আমদানির পরিমাণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম ১১ মাসে চীন ৫১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। দৈনিক হিসেবে গড়ে যার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। এ হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে ১২ দশমিক ১ শতাংশ।

রফতানিকারক দেশগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে তা পরিশোধের মাধ্যমে পুনরায় বিক্রি করে চীন। নভেম্বরে পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য বিক্রির পরিমাণও কমেছে। কাস্টমস তথ্য বলছে, বিশ্বর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি গত মাসে ৫০ লাখ ৮০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি রফতানি করেছে, যা অক্টোবরের ৫১ লাখ ৭০ হাজার টনের চেয়ে কম। আর ২০২২ সালের নভেম্বরের ৬১ লাখ ৪০ হাজার টন জ্বালানি পণ্য রফতানির তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।

রফতানি কমলেও নভেম্বরে পরিশোধন আয় বেড়েছে চীনের। অক্টোবরে ব্যারেলপ্রতি ৩ ডলার ৬০ সেন্টে আয় এলেও নভেম্বরে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ ডলার ৭৪ সেন্টে।

পাঠকের মতামত: